বৃহস্পতিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১২

আজ দুল্হায়ে হয়রত (কঃ) রাহে ভান্ডারীর ওরছ শরীফ

রাহে ভান্ডার তথ্য কেন্দ্র:
আজ 21 ডিসেম্বর শুক্রবার দুল্হায়ে হয়রত; ছাহেবুল অজুদুল কোরআন মৌলানা ছৈয়দ ছালেকুর রহমান শাহ রাহে ভান্ডারী (কঃ) এর ওরছ শরীফ অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাহে ভান্ডার রাজানগর দরবার শরীফে।

দুল্হায়ে হয়রত; ছাহেবুল অজুদুল কোরআন মৌলানা ছৈয়দ ছালেকুর রহমান শাহ রাহে ভান্ডারী (কঃ) ছিলেন গাউছুল আজম হযরত মৌলানা ছৈয়দ অহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (কঃ) এর অন্যতম বিশিষ্ট খলিফা। গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী (কঃ) প্রথম সাক্ষাতেই তাকে ‘দুল্হা’ বলে সম্বোধন করে ছিলেন। সে সূত্রধরে তিনি আজও মাইজভান্ডারী পরিমন্ডলে ‘দুল্হায়ে হযরত’ নামে সমধিক প্রসিদ্ধ। ভক্তবৃন্দ তাকে রাজানগরী (কঃ) বলেও সম্বোধন করে থাকেন।
মৌলানা ছৈয়দ ছালেকুর রহমান শাহ রাহে ভান্ডারী (1848- 1968) (কঃ) গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী (কঃ) এর নির্দেশে বার্মায় গমন করেছিলেন। তিনি 1916 সালে ইয়াঙ্গনে (রেঙ্গুন) তার প্রথম দায়েরা শরীফ প্রতিষ্ঠা করেন। দীর্ঘ সময় বার্মায় অতিবাহিত করলেও জীবনের শেষাংশে তিনি স্থায়ী ভাবে নিজ বাড়ি রাজানগর, রাঙ্গুনিয়ায় বসবাস করেন।

7 পৌষ 1373 বাংলা মোতাবেক 22 ডিসেম্বর 1968 ইংরেজী তিনি ওফাত প্রাপ্ত হলে নিজ দরবারস্থ রওজা শরীফে তাকে সমাহিত করা করা হয়।

বাংলাদেশ, মায়ানমার, ভারত ও বেলজিয়াম সহ পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে তার বহু খলিফা বা প্রতিনিধি ও ভক্তবৃন্দ ছিলেন। আজও তার আশেক ভক্তবৃন্দ প্রতি বছর এ দিনটিতে একত্রিত হয়ে ইবাদতে মশগুল থেকে সময় অতিবাহিত করেন এবং তার অনুকরণীয় জীবনের বিভিন্ন দিকের উপর অলোকপাত করে আলোচনা করেন।
এ বছর উক্ত ওরছে বিশেষ অংশ হিসেবে উদ্বোধন করা হবে:
     রাহে ভান্ডার দরবার শরীফের ইংরেজী ওয়েবসাইড
ও ফ্রি এনসাইক্লোপিডিয়া উইকিপিডিয়ার ইংরেজী আর্টিক্যাল:
     (ক) আহমদ উল্লাহ্ মাইজভান্ডারী
     (খ) ইউনিভার্সেল ছুফি ফ্যাস্টিবল
     (গ) রাহে ভান্ডার এ্যন্নোবেল এওয়ার্ড
দরবার কর্তৃপক্ষ সর্ব স্থরের জনসাধারণকে উক্ত অনুষ্ঠানে যোগদানের উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১২

রাহে ভান্ডার দরবারে ওরশ সম্পন্ন

8 কার্তিক, 23 শে অক্টোবর বোয়ালখালীস্থ রাহে ভান্ডার কদুরখীল দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা আজাদে মোজাদ্দেদে জামান- হযরত মৌলানা ছৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মালেক শাহ্ (ক:) এর ওরছ এ হায়াতী তথা খোশরোজ শরীফ অনুষ্ঠিত হয়।

রাহে ভান্ডার কধুরখীল দরবার শরীফে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে দূর দূরান্ত হতে আগত সকল ভক্ত ও মুরিদগণের উদ্দেশ্যে তরিকতের দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন দরবারের সাজ্জদানশীন- রাহে ভান্ডার দর্শনের বর্তমান দীক্ষাদাতা পীরে কামেল হযরত মৌলানা ছৈয়দ জাফর ছাদেক শাহ (মা:জি:আ:)

তবরুক বিতরণের পর এক জনাকীর্ণ মজলিসে দরবারের সাজ্জাদানশীন বক্তব্যে দাককালে বিশ্বব্যাপী দীনে মোহাম্মদী (সা:) এর অনুসারীগনকে নিয়ে যে সড়যন্ত্র চলছে তার প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান। উক্ত অনুষ্ঠানে দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্যে অছিয়ত ও নছিহত পর্বে তিনি এ আহ্বান জানান।

অত:পর ছেম্আ মাহফিল ও আখেরী মুনাজাত অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে ওরছের কার্যক্রম সমাপ্ত হয়।

বৃহস্পতিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১২

রাহে ভাণ্ডার দরবারে খোশরোজ শরীফ



হযরত মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ আবদুল মালেক শাহ (ক.) এর খোশরোজ শরীফ আগামী ২৩ অক্টোবর বোয়ালখালীর রাহে ভাণ্ডার কধুর খিল দরবারে অনুষ্ঠিত হবে। দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ৮টায় খতমে কোরান, ১০টায় মাজারে গিলাফ চড়ানো, বাদ আসর অসিয়ত-নসিহতসহ জিকির, সেমা মাহফিল, মোনাজাত ও তবারক বিতরণ। এতে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সাজ্জাদানশীন হযরত মাওলানা সৈয়দ জাফর সাদেক শাহ (ম.জি.আ)

উপরের সংবাদটি দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ এর অনলাইন: ‘দেশগ্রাম’ ও প্রিন্টেড কপির ৫ম পৃষ্ঠায় আজ অক্টোবর ১৮, ২০১২ তাং প্রকাশিত হয়েছে।

লিংকটি নিম্নে দেয়া হল:-
http://www.suprobhat.com/details.php?reqDate=2012-10-18 00:00:00&catId=1&subCatId=16&conId=26658

বুধবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১২

সানে গাউসুল আজম মাইজভারী ফোরাম

Email From: Shahed Hasan, Rahe Bhander Information Desk
 Wednesday, September 12, 2012 10:05 PM
This was published at (Daily Purbokon): ‰`wbK c~e©‡KvY  বুধবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১২

নগরীতেবিভিন্ন সংগঠনের পুনর্মিলনী

পূর্বকোণ ডেস্ক :
নগরীতে বিভিন্ন সংগঠন ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

শান্-- গাউসুল আজম : গাউসুল আজম মাইজভারী দরবারে পাকে সানে গাউসুল আজম মাইজভারী ফোরাম-এর উদ্যোগে ঈদ পুণর্মিলনী মাইজভারী সামা মাহফিল গত শনিবার অনুষ্ঠিত হয়। শান্--গাউসুলআজম মাইজভারী ফোরাম-এর চেয়ারম্যান শাহসুফী ডা. সৈয়দ দিদারুল হক (.) এর সভাপতিত্বে মাহফিলে খোলাফায়ে গাউসুল আজম মাইজভারীর বিভিন্ন দরবারের আওলাদ ভক্তবৃন্দ যোগদান করেন।

ফোরামের জয়েন্ট সেক্রেটারী শরীফ নিজামীর উপস্থাপনায় স্বাগত ভাষণ দেন শাহজাদা সৈয়দ নঈমুল কুদ্দুস আকবরী হাওলাপুরী। বক্তব্য রাখেন মাওলানা বাকী বিল্লাহ আল আজাহারী, ফোরামের কার্যকরী পরিষদের সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা সৈয়দ ফরিদুল আবছার আমিরী।


সোমবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১২

রাহে ভাণ্ডার কধুরখীল দরবার শরীফে বক্তারা:- আল্লাহ প্রেমের পূর্ব শর্ত হচ্ছে রাসূল প্রেম


          রাহে ভাণ্ডার দরবার শরীফের উদ্যোগে দিনব্যাপী ৯ম মহাত্মা সম্মেলন ২১ মার্চ চট্টগ্রাম মুসলিম হলে দরবার শরীফের সভাপতি শাহ সূফি মাওলানা সৈয়দ জাফর ছাদেক শাহ (মা.জি.আ.) এর সভাপতিত্বে এবং উদযাপন কমিটির মহাসচিব মো. বশির উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়। বিকালের প্রথম পর্বের রক্ত দান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বি,এম, এ চট্টগ্রামের সভাপতি ও রেড ক্রিসেন্ট চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. শেখ শফিউল আজম।

            মহাত্মা সম্মেলন ও ছেমা মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক এম.এ. সালাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অশোক কুমার দাশ। আইনজীবী জসিম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুম চৌধুরী, ইটিভি চট্টগ্রাম ব্যুরো চিফ সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, জুলদা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নূরুল হক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বোয়ালখালী উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বদরুস মেহের, কদুরখীল ইউ.পি চেয়ারম্যান মো. ইদ্রিস আলোকিত বোয়ালখালীর সম্পাদক তাজুল ইসলাম রাজু। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন শাহ্ সুফি সৈয়দ ওসমান কাদের মিয়া, শাহ্ সূফি সৈয়দ নজরুল হুদা (মাইজভাণ্ডারী), রেড ক্রিসেন্ট চট্টগ্রামের ব্লাড ইনচার্জ ডা. আবদুল জলিল, লিও বাবুল হোসেন বাবলা প্রমুখ।
                  প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন আল্লাহ প্রেমের পূর্বশর্ত হচ্ছে রাসূল প্রেম। সুন্নিয়তের প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসার জন্য তিনি আহ্বান করেন। পরিশেষে ৭ জন গুণী ব্যক্তিকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

সুফিবাদ (সুফীবাদ বা সুফী দর্শন)

উিইকি পিডিয়া হতে নেয়া:

সুফিবাদ (সুফীবাদ বা সুফী দর্শন) একটি ইসলামি আধ্যাত্মিক দর্শন। আত্মা সম্পর্কিত আলোচনা এর মুখ্য বিষয়। আত্মার পরিশুদ্ধির মাধ্যমে আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনই হলো এই দর্শনের মর্মকথা। পরম সত্তা মহান আল্লাহ কে জানার এবং আকাঙ্খা মানুষের চিরন্তন। স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ককে আধ্যাতিক ধ্যান ও জ্ঞানের মাধ্যামে জানার প্রচেষ্টাকে সূফী দর্শন বা সূফীবাদ বলা হয়। হযরত ইমাম গাজ্জালী(রঃ) এর মতে, "আল্লাহর ব্যাতীত অপর মন্দ সবকিছু থেকে আত্মাকে প্রবিত্র করে সর্বদা আল্লাহর আরাধনায় নিমজ্জিত থাকা এবং সম্পূর্ন রূপে আল্লাহুতে নিমগ্ন হওয়ার নামই সূফী বাদ বলে। "‘সুফ অর্থ পশম আর তাসাওউফের অর্থ পশমী বস্ত্রে পরিধানের অভ্যাস (লাব্‌সু’স-সুফ) - অতঃপর মরমীতত্ত্বের সাধনায় কাহারও জীবনকে নিয়োজিত করার কাজকে বলা হয় তাসাওউফ। যিনি নিজেকে এইরূপ সাধনায় সমর্পিত করেন ইসলামের পরিভাষায় তিনি সুফি নামে অভিহিত হন।’ [১] ইসলামি পরিভাষায় সুফিবাদকে তাসাওউফ বলা হয়, যার অর্থ আধ্যাত্মিক তত্ত্বজ্ঞান। তাসাওউফ বা সুফিবাদ বলতে অবিনশ্বর আত্মার পরিশুদ্ধির সাধনাকে বুঝায়। আত্মার পবিত্রতার মাধ্যমে ফানাফিল্লাহ (আল্লাহর সঙ্গে অবস্থান করা) এবং ফানাফিল্লাহর মাধ্যমে বাকাবিল্লাহ (আল্লাহর সঙ্গে স্থায়িভাবে বিলীন হয়ে যাওয়া) লাভ করা যায়। যেহেতু আল্লাহ নিরাকার, তাই তাঁর মধ্যে ফানা হওয়ার জন্য নিরাকার শক্তির প্রতি প্রেমই একমাত্র মাধ্যম। তাসাওউফ দর্শন অনুযায়ী এই সাধনাকে ‘তরিকত’ বা আল্লাহ-প্রাপ্তির পথ বলা হয়। তরিকত সাধনায় মুর্শিদ বা পথপ্রদর্শকের প্রয়োজন হয়। সেই পথ হলো ফানা ফিশ্‌শাইখ, ফানা ফিররাসুল ও ফানাফিল্লাহ। ফানাফিল্লাহ হওয়ার পর বাকাবিল্লাহ লাভ হয়। বাকাবিল্লাহ অর্জিত হলে সুফি দর্শন অনুযায়ী সুফি আল্লাহ প্রদত্ত বিশেষ শক্তিতে শক্তিমান হন। তখন সুফির অন্তরে সার্বক্ষণিক শান্তি ও আনন্দ বিরাজ করে। হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) স্বয়ং সুফিদর্শনের প্রবর্তক। তিনি বলেন, মানবদেহে একটি বিশেষ অঙ্গ আছে, যা সুস্থ থাকলে সমগ্র দেহ পরিশুদ্ধ থাকে, আর অসুস্থ থাকলে সমগ্র দেহ অপরিশুদ্ধ হয়ে যায়। জেনে রাখো এটি হলো কল্‌ব বা হূদয়। আল্লাহর জিকর বা স্মরণে কল্‌ব কলুষমুক্ত হয়। সার্বক্ষণিক আল্লাহর স্মরণের মাধ্যমে কল্‌বকে কলুষমুক্ত করে আল্লাহর প্রেমার্জন সুফিবাদের উদ্দেশ্য। যাঁরা তাঁর প্রেমার্জন করেছেন, তাঁদের তরিকা বা পথ অনুসরণ করে ফানাফিল্লাহর মাধ্যমে বাকাবিল্লাহ অর্জন করাই হলো সুফিদর্শন। সুফিবাদ উৎকর্ষ লাভ করে পারস্যে। সেখানকার প্রখ্যাত সুফি-দরবেশ, কবি-সাহিত্যিক এবং দার্শনিকগণ নানা শাস্ত্র, কাব্য ও ব্যাখ্যা-পুস্তক রচনা করে এই দর্শনকে সাধারণের নিকট জনপ্রিয় করে তোলেন। কালক্রমে বিখ্যাত ওলীদের অবলম্বন করে নানা তরিকা গড়ে ওঠে। সেগুলির মধ্যে চারটি প্রধান তরিকা সর্বাধিক প্রসিদ্ধি লাভ করে:
  1. বড় পীর হযরত আব্দুল কাদির জিলানী (রঃ) প্রতিষ্ঠিত কাদেরিয়া তরিকা,
  2. সুলতানুল হিন্দ হযরত খাজা মু’ঈনুদ্দীন চিশতি (রঃ) প্রতিষ্ঠিত চিশতিয়া তরিকা,
  3. হযরত খাজা বাহাউদ্দিন নকশবন্দী (রঃ) প্রতিষ্ঠিত নকশবন্দিয়া তরিকা এবং
  4. হযরত শেখ আহমদ মুজাদ্দিদ-ই-আলফে ছানী সারহিন্দী (রঃ) প্রতিষ্ঠিত মুজাদ্দিদিয়া তরিকা।
এছাড়া সুহ্‌রাওয়ার্দিয়া, মাদারীয়া, আহমদিয়া ও কলন্দরিয়া নামে আরও কয়েকটি তরিকার উদ্ভব ঘটে।