বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৪

অছি শাহ্‌ মাইজভান্ডারীর ওরছে রাহে ভাণ্ডারের শ্রদ্ধাঞ্জলী

ত্বরীকায়ে গাউছিয়া আহমদিয়া মাইজভাণ্ডারীর বদৌলতে বিশ্ববাসী অনেক মহান মনীষীর সান্নিধ্যে আসতে সক্ষম হয়েছে। তাঁদের মধ্যে গাউছুল আজম হযরত গোলামুর রহমান (কঃ) মাইজভাণ্ডারী প্রকাশ বাবা ভাণ্ডারীর বিশিষ্ট খলিফা হযরত অছি শাহ্‌ (রাঃ) মাইজভাণ্ডারী অন্যতম। গত ১০ নভেম্বর ২০১৪ ইং রোজ সোমবার ছিল এই মহান মনীষীর ওরছ মোবারক।     

এ উপলক্ষে চট্টগ্রামের দেওয়ানহাটস্থ মাজার শরীফে দিন ব্যাপী কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। কর্মসূচীর মধ্যে ছিল – খতমে কোরআন, মাজার শরীফ গোসল, গিলাপ পরিধান, আতর-গোলাপ ও পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ, মিলাদ মাহফিল, ছেমা মজলিশ , তাবাররুক বিতরণ ও আখেরী মোনাজাত।



ওরছ শরীফ উপলক্ষে রাহে ভাণ্ডার তরুণ আশেকান পরিষদ (রাতআপ) মহানগর ও বন্দর শাখা সমন্বিত ভাবে একটি আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করে। এ আনন্দ শোভা যাত্রায় প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাহে ভাণ্ডার কধুরখীল দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন হযরত ছুফি মৌলানা ছৈয়দ জাফর ছাদেক শাহ্‌ রাহে ভাণ্ডারী (মাঃ জিঃ আঃ)। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন রাহে ভাণ্ডার ওলামা পরিষদের (রাওপ) সভাপতি মৌলানা মোহাম্মদ আবুল কাশেম রাহে ভাণ্ডারী, রাতআপ মহানগর শাখার সহ সভাপতি হোসাইন খোকন, বন্দর শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডাঃ মোহাম্মদ রবিন, সাধারণ সম্পাদক রশিদুল হাসান সাহেদ, সীতাকুণ্ড শাখার সভাপতি মোসলেহ উদ্দিন সুজন, তানভীর ইসলাম, মীর জাহেদ প্রমুখ।



শোভাযাত্রাটি চট্টগ্রামস্থ দেওয়ানহাট মোড় থেকে শুরু হয়ে মাজার প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রা শেষে প্রধান মেহমান হযরত অছি শাহ্‌ (রাঃ) মাজার শরীফে শ্রদ্ধাঞ্জলী পেশ করে মাজার জিয়ারত করেন।     


মাজার জিয়ারত শেষে তিনি ওরছ উপলক্ষে আয়োজিত ছেমা মজলিশে তশরিফ নেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সূফীতত্ত্ব গবেষণা ও মানবকল্যাণ কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক মওলানা ইকবাল ইউসূফ, বাংলাপোস্টবিডি অনলাইনের সম্পাদক জনাব এম আলী হোসেন, মাসিক বায়েজিদের প্রকাশক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, বীমা ব্যক্তিত্ব আলহাজ্ব সিরাজুল মোস্তফা, বিশিষ্ট ব্যাংকার হারুন উর রশিদ, হামদর্দ ব্যবস্থাপক হাকিম জাফর ছাদেক, মানবাধিকার কমিশন চট্টগ্রামের তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক কে জি এম সবুজ, সাংবাদিক নুরুল মোস্তফা সহ প্রমুখ।  
  

ছেমা মজলিশ শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে ওরছ শরীফের আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন ছৈয়দ জাফর ছাদেক শাহ্‌ (মাঃ জিঃ আঃ) রাহে ভাণ্ডারী।


তথ্য সহযগিতায়ঃ রশিদুল হাসান সাহেদ ও তানভীর ইসলাম

ছবিঃ তানভীর ইসলাম

গ্রণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের কতিপয় লিংক নিম্নে দেয়া হল:

দৈনিক সুপ্রভাত

দৈনিক নিউজ বিএনএ


দৈনিক ই সুপ্রভাত

দৈনিক বাংলা এক্সপ্রেস

দৈনিক বাংলা পোষ্ট

ভয়েস অব বিডি





....

সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৪

মাইজভান্ডার আমিন মঞ্জিলে ফাতেহা শরীফ: ছোট মৌলানার (কঃ) ওরছে যোগদানের আহ্বান

দপ্তরে গাউছুল আজম হযরত শাহ ছুফী মৌলানা ছৈয়দ আমিনুল হক ওয়াছেল মাইজভান্ডারী (কঃ)’র মাসিক ফাতেহা শরীফ গত ২৫ কার্তিক ১৪২১ বাংলা, ০৯ নভেম্বর ২০১৪ ইংরেজী, রবিবার মাইজভান্ডার দরবার শরীফস্থ দফতরে গাউছুল আজম-  আমিন মঞ্জিলে পালিত হয়। উক্ত ফাতেহায় গাউছিয়া আমিন মঞ্জিলের নায়েবে সাজ্জাদানশীন হযরত ছৈয়দ মারূফ বিন কাদের (মাঃ) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নবী দিবসের (সঃ) প্রবক্তা ও মহাত্মা সম্মেলনের আয়োজক- রাহে ভান্ডার কধুরখীল দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন হযরত ছুফী মৌলানা ছৈয়দ জাফর ছাদেক শাহ্ (মাঃ), নাছির ভান্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন হযরত মৌলানা সাইফুল ইসলাম (মাঃ), দুলহায়ে হযরত ছালেকুর রহমান শাহ (কঃ)’র দৌহিত্র শাহজাদা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর সহ আরো অনেকে।


বাদে এশা বিভিন্ন দরবার এবং দূর দূরান্ত হতে আগত ভক্ত আশেকগণ তবারুক গ্রহন শেষে মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন। এ পবিত্র মাহফিলে অত্যন্ত ভাবগম্ভীর পরিবেশে আগত অতিথিবৃন্দ ছুফীতত্ত্বের নানা বিষয়াদির উপর জ্ঞানগর্ভ আলোচনা উপস্থাপন করেন। এরপর অতিথি ও ভক্ত আশেক সকলে সম্মিলিতভাবে তরীকার রেওয়াজ মোতাবেক ছেমা মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন। 

ছেমা শেষে আগামী ২৫ অগ্রহায়ন দপ্তরে গাউছুল আজম-এ মাইজভান্ডার শরাফতের অবিনশ্বর নক্ষত্র হযরত শাহ ছুফী মৌলানা ছৈয়দ আমিনুল হক ওয়াছেল মাইজভান্ডারী প্রকাশ ছোট মৌলানা (কঃ)’র বার্ষিক ওরছ শরীফের সাফল্য কামনা করে নাছির ভান্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন হযরত ছুফী মৌলানা সাইফুল ইসলাম (মাঃ) মোনাজাত পরিচালনা করেন। 



পরিশেষে হযরত ছৈয়দ মারূফ বিন কাদের (মাঃ) আগামী ২৫ অগ্রাহায়ন বার্ষিক ওরছ শরীফে যোগদান করে কুতুবুল এরশাদ হযরত শাহ ছুফী  মৌলানা ছৈয়দ আমিনুল হক ওয়াছেল মাইজভান্ডারী (কঃ)’র রুহানী ফয়েজ অর্জন করার জন্য উপস্থিত অতিথি ও ভক্ত আশেকগনর মাধ্যম সমাজের সর্বস্থরে দাওয়াত পৌছে দেন।




সম্পাদনায়: মাহমুদুল হাসান তুষার
তথ্য: ছৈয়দ মশিউর রহমান রাহাত
ছবি: সাকিব মন্টু


....

‘সংগঠন সমূহের নবায়ন’ শীর্ষক রাআপ’র সভা

রাহে ভান্ডার আশেকান পরিষদের (রাআপ) আয়োজনে কেন্দ্রীয় কার্যালয় রাহে ভান্ডার কধুরখীল দরবার শরীফে একটি বিশেষ সভার আয়োজন করা হয় গত ২২ কার্তিক ১৪২১ বাংলা, ১২ মহররম ১৪৩৬ হিজরী, ৬ নভেম্বর ২০১৪ ইংরেজী, বৃহস্পতিবার।

উক্ত সভায় প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন রাহে ভান্ডার কধুরখীল দরবার শরীফের সংগঠনসমূহের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক ও ছুফীতত্ত্বে তথ্য প্রযুক্তির পৃষ্ঠপোষক হযরত মৌলানা ছুফী ছৈয়দ জাফর ছাদেক শাহ্ (মাঃজিঃআঃ)। এতে সভাপতিত্ব করেন রাআপ এর সভাপতি ডাঃ শাহজাদা ছৈয়দ আরেফ হোছাইন। তাছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হযরত মৌলানা ছুফী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম রফু (মাঃ), ছুফী মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন, ছুফী মোহাম্মদ ইউসুফ, ছুফী আমিনুল ইসলাম ফকির। এ সভায় দরবারের সকল অঙ্গসংগঠন সমূহের কর্মকর্তাবৃন্দ যোগদান করেন। সভা সঞ্চালনা করেন রাআপ সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ মশিউর রহমান রাহাত।


উক্ত সভায় রাহে ভান্ডার ওলামা পরিষদ (রাওপ)’র সভাপতি মৌলানা আবুল কাশেম রাহে ভান্ডারী, রাহে ভান্ডার তরুণ আশেকান পরিষদ (রাতআপ)’র সভাপতি শাহাজাদা সাইফুল আলম নাইডু এবং রাতআপ এর সকল শাখা সংগঠন সমূহের প্রতিনিধিবৃন্দ সভার আলোচ্য বিষয় ‘সংগঠন সমূহের নবায়ন’ বিষয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, রাহে ভান্ডারে মানবের মূল্যায়ন হয়, মানবতার মূল্যায়ন হয়। তাই বরাবরের ন্যায় তিনি সংগঠন সমূহকে মানব কল্যাণের আদর্শে নিয়োজিত থেকে কাজ করে যাওয়ার দিকনির্দেশনা দেন। তিনি সংগঠন সমূহের প্রতি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ছুফীতত্ত্বকে প্রচার ও প্রসারে গুরুত্বারোপ করেন।

পরিশেষে সভাপতি তার সমাপনী বক্তব্যে মানব কল্যাণে কাজ করে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে সভার পরিসমাপ্তি ঘোষণা করেন।



সম্পাদনায়-  মোঃ নাজিম উদ্দীন রুবেল
তথ্যসূত্র ও ছবি- মুহাম্মদ জিফাদ বিন লিয়াকত


....

রাহে ভান্ডার যুগের চাহিদা, সময়ের প্রয়োজন - ছৈয়দ জাফর ছাদেক শাহ (মাঃ)

প্রতি মাসের ন্যায় প্রায় অর্ধ শতাব্দিকালের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে গত ২২ কার্তিক ১৪২১ বাংলা; ১২ মহররম ১৪৩৬ হিজরী; ৬ নভেম্বর ২০১৪ ইংরেজী; বৃহস্পতিবারে রাহে ভান্ডার কধুরখীল দরবার শরীফে নিয়মিত মাসিক ফাতেহা অনুষ্ঠান পরিপূর্ণ ধর্মীয় মর্যাদায় পালন করা হয়।

এ ফাতেহায় যোগদানের জন্য মাগরিবের আগে থেকে দরবারে ভক্ত মুরিদগণের সমাগম ঘটতে থাকে। মাগরিবের সালাতের পর নিখিল মানব প্রেমাষ্পদ; আজাদে মোজাদ্দেদ- এ- জমান হযরত মৌলানা ছুফী ছৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মালেক শাহ্ রাহে ভান্ডারী (কঃ) এর পবিত্র রওজায় আশেক ভক্তরা মিলাদ ও কিয়ামে অংশগ্রহণ করেন। বাদে এশা সকলের মাঝে তবারুক বিতরণ করা হয়।

 ফাতেহার অছিয়ত ও নছিহত মাহফিলে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন রাহে ভান্ডার কধুরখীল দরবার শরীফের বর্তমান সাজ্জাদানশীন হযরত মৌলানা ছুফী ছৈয়দ জাফর ছাদেক শাহ্ আল-রাহে ভান্ডারী (মাঃজিঃআঃ)। এতে বিশেষ অতিথিগণের মধ্যে হযরত মৌলানা ছুফী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম রফু (মাঃ), দরবারের নায়েবে মোন্তাজেম ডাঃ শাহজাদা ছৈয়দ আরেফ হোছাইন, নায়েবে সাজ্জাদানশীন হযরত ছৈয়দ মশিউর রহমান রাহাত, ছুফী মোহাম্মদ ইউসুফ, ছুফী আমিনুল ইসলাম ফকির, রাহে ভান্ডার তরুণ আশেকান পরিষদের সভাপতি শাহজাদা সাইফুল আলম নাইডু, রাহে ভান্ডার তরুণ আশেকান পরিষদ সীতাকুন্ড শাখার উপদেষ্টা শফিউল ইসলাম সহ প্রমূখ উল্লেখযোগ্য।

   

ফাতেহার মূল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সার্বজনীন উৎসব ‘নবী দিবস’ ও ‘মহাত্মা সম্মেলন’ এর প্রবর্তক ‘তরিকায়ে রাহে ভান্ডার’ এর পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলেন, “রাহে ভান্ডার যুগের চাহিদা, সময়ের প্রয়োজন। ‘কুনতুকানজান মাখফিয়ান’- এই গুপ্ত রহস্যের ভান্ডারের যে পন্থ, তা-ই রাহে ভান্ডার। রাহে ভান্ডার এর প্রতিষ্ঠাতা, দুলহা-এ হযরত, ছাহেবুল অজুদুল কোরআন, গাউছুল আজম হযরত মৌলানা ছুফী ছৈয়দ ছালেকুর রহমান শাহ রাহে ভান্ডারী রাজানগরী (কঃ), যিনি জাগতিক ভাবে আরবী, উর্দূ, ফারসী- সকল জ্ঞানে জ্ঞানী ব্যক্তিত্ব। উনি স্বয়ং উনার দরবারের নামকরণ করেন ‘রাহে ভান্ডার’। এই যে নামকরণ, শুধু নামকরণ নয়, উনার শিক্ষা-দীক্ষাও ব্যতিক্রম। গাউছুল আজম মাইজভান্ডারীর সকল আদর্শের মধ্যে বিশেষ আদর্শ এই রাহে ভান্ডার। এই তরিকা সচরাচর সবার পাওনা নয়। বিশেষ করে আজল যাদের উন্নত, যারা আজল থেকে প্রাপ্ত, তারাই এই তরিকায় অংশগ্রহণ করবে”।

রাহে ভান্ডার দর্শনের আদর্শ ও মূল্যবোধের বর্ণনায় বর্তমান দীক্ষা গুরুর প্রাঞ্জল উপস্থাপনা, “এখানে মানবের মূল্যায়ন হয়, মানবতার মূল্যায়ন হয়। মানব কল্যাণে ধর্ম ব্যবহার এই দরবারের আদর্শ। মানবকল্যাণে ধর্ম ব্যবহৃত হবে। গতানুগতিক ধর্ম বিশ্বাসী এই দরবার নয়। এই দরবারের সকল কর্মকান্ড বিবেক প্রসূত, বিবেকহীন ধর্ম জ্ঞানে বিশ্বাসী নয়। বিবেক বুদ্ধি বিবেচনায় যা প্রমাণিত; চিরসত্য ধর্মের সদা-সর্বদা অনুসরণ এই দরবার করে এসেছে, করবে”। উদ্ভট বিবেকহীন এক শ্রেণীর তথা কথিত আলেম নামধারী মোল্লা-মুন্সিরা যুগের পর যুগ ধরে কুসংস্কার সর্বস্ব বিবেকবর্জিত আচার অনুষ্ঠানকে মূল ধর্ম প্রমাণ করতে মরিয়া। এই অপচেষ্টার অংশ হিসেবে তারা অপরের সব কিছুতে বেদআত নামের ফতোয়া জারি করতে ব্যস্ত।

মানবের জন্মগত স্বাধীনতা ও পরধর্মের প্রতি অসৌজন্য প্রদর্শনকারী কাঠমোল্লার দলের উদ্দেশ্যে রাহে ভান্ডার দরবারের সার্বিক তত্ত্ববধায়ক মহোদয়ের কথন, “রাহে ভান্ডার মূল কারিগরের কারিগরি, এটা চলতে থাকবে। রাহে ভান্ডার হলো পুরানো তরিকার নতুন রূপ। যারা বেদআতের ফতোয়া দিচ্ছে তাদের প্রত্যেকের পকেটে কি একটি করে মোবাইল ফোন নেই, যা একটি জ্বাজ্জল্যমান বেদআত? পাকা দালানে যায় না এমন মোল্লা কি পাওয়া যাবে? এখন তো বেশির ভাগ মসজিদ ইট পাথরের দালান, রাসুলুল্লাহ (দঃ) এর মসজিদে নববী কি পাকা দালানের ছিল? রাসুলুল্লাহর আমলে জমজম কুপ হতে বালতি দিয়ে পানি তুলতে হতো। এখনকার হাজীরা যেখানে সেখানে জমজম এর পানি পাচ্ছেন। এমনকি তারা জমজম কুপের অস্তিত্বও জানেন না। আগেতো সবাই জমজম কুপ দেখতো। তাদের দেয়া ফতোয়া ও দলিল দস্তাবেজ অনুযায়ী কি মক্কা শরীফেও বেদআত প্রচলিত নয়?”

এসব সুবিধাভোগী দ্বিমুখী চরিত্রের লোকদের স্বভাব সম্পর্কে মন্তব্যে তিনি বলেন, “ধর্মে নতুন কিছুর সংযোজনকে বেদআত বলে সত্য; তবে এসব বেদআতে হাসনা, বেদআতে ছাইয়া নয়। যারা বেদআত থেকে তুষ্টিত-পুষ্টিত, বেদআত থেকে লাভ-লভ্য গ্রহণ করে, যারা আপাদমস্তক বেদআতে ডুবে আছে,তারাই ‘বেদআত’ ‘বেদআত’ বলে চিল্লাফাল্লা করছে। বর্তমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগে এতসব যন্ত্রপাতিকে বাদ দিয়ে চলা যায় না, কেউ চলতে পারে না। বেদআতকে অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই”।

এসব কান্ডজ্ঞানহীন লোকদের পরিণাম সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য, “নিজে কি করে তার কোন খবর নাই, শুধু অপরের দোষ তালাশ! জানিনা এদের কি পরিণতি! ওয়াল্লাহু আ’লামু ওয়া রাসুলু আ’লামু”।

হযরত মৌলানা ছুফী ছৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মালেক শাহকে (কঃ) ওনার স্বীয় মুর্শিদ দুলহায়ে হযরত ছুফী মৌলানা ছৈয়দ ছালেকুর রহমান শাহ রাজানগরী (কঃ) কর্তৃক খেলাফত প্রদানের ঘটনা বর্ণনায় হযরত মৌলানা ছুফী ছৈয়দ জাফর ছাদেক শাহ্ (মাঃজিঃআঃ) আবেগাপ্লুত হয়ে ব্যক্ত করেন, “ছালেক শাহ (কঃ) যদিও তাঁর অনেক শিষ্যকে খেলাফত প্রদান করেন, আমার বাবাজান মালেক শাহ্ (কঃ) কে খেলাফত প্রদান ছিল সবার চাইতে ব্যতিক্রম। শুধু তাই নয়, ঐ সময় আমার বাবাজানের শানে তাঁর পীর ছালেক শাহ (কঃ) এই ফার্সী শায়েরীটি কালাম করেন :

সোদ আঁ নামে ছালেক শাহে বাহদর এয়াফত খেতাবী বমূলকে মালেক
বাগে খুঁদি আজব এনায়াত বাহাতে বাহাতে কিয়ায়ে আলম।।

মুর্শিদ ছালেক শাহ (কঃ) তাঁর প্রিয় শিষ্য মালেক শাহ (কঃ) কে ‘আজাদে মোজাদ্দেদ’ খেতাবে ভূষিত করেন”।

‘রাহে ভান্ডার এ্যানোবল এওয়ার্ড’ এর প্রবর্তনকারী হযরত মৌলানা ছৈয়দ জাফর ছাদেক শাহ (মাঃজিঃআঃ) তাঁর বক্তব্যের শেষ দিকে রাহে ভান্ডার দরবার সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারনা, বিদ্বেষপোষণকারী ও বিরুদ্ধাচরণকারীদের উদ্দেশ্যে উল্লেখ করেন, “রাহে ভান্ডার ‘আপডেট’ ধর্মের চর্চা করে। ‘আপডেট’ এর অর্থ যারা বোঝেনা, তারা রাহে ভান্ডার বোঝেনা। এখানে ৩৬০ দেব- দেবীর পূজা অর্চনা করা হয় না। আমরা এক আল্লাহর ইবাদত করি”।

পরিশেষে তিনি তাঁর ভক্ত-শিষ্যদের আদব ও বিনয় সম্পর্কে বিবিধ শিক্ষামূলক কথা বলেন ও আমল করার তাগিদ দিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।

আলোচনা শেষ হলে রাহে ভান্ডার ছূফী শিল্পী পরিষদের ছৈয়দ মশফিকুর রহমান ফয়সাল ও শায়ের শাহেদের পরিবেশনায় ছেম’আ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অতঃপর উপস্থিত ব্যক্তিবর্গকে সাথে নিয়ে পৃথিবী ব্যাপী মুসলিম উম্মাহর বর্তমান দুরাবস্থা হতে উত্তরণ, উম্মতে মোহম্মদীর মধ্যে পারস্পরিক ভাতৃত্ববোধ, মমতা ও সহানুভূতি বৃদ্ধি, সমগ্র মানব জাতীর হেদায়েত, সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে  মোনাজাত করেন হযরত মৌলানা ছুফী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম রফু (মাঃ)।

লেখক: মুহাম্মদ জিফাদ বিন লিয়াকত

...

বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৪

রাহে ভাণ্ডার কধুরখীল দরবার শরীফে পবিত্র আশুরা উদযাপিত

    যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য্য ও বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে রাহে ভাণ্ডার কধুরখীল দরবার শরীফে পবিত্র ১০ মহররম শোহাদায়ে কারবালা স্মরণে ফাতেহা উদযাপিত হয়েছে। রাহে ভাণ্ডার ওলামা পরিষদ (রাওপ) বাদে আছর থেকে বাদে মাগরিব পর্যন্ত শোহাদায়ে কারবালার উপর মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে। মাহফিল শেষে রাহে ভাণ্ডার ছুফি শিল্পী পরিষদ শোহাদায়ে কারবালার শানে নাত ও গজল পেশ করে।

     পরবর্তীতে অনুষ্ঠানে আগত সকল আশেক, ভক্ত, মুরিদানের সম্মুখে তাবাররুক বিতরণ করা হয়।

     বাদে এশা রাহে ভাণ্ডার কধুরখীল দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন হযরত ছুফি মৌলানা ছৈয়দ জাফর ছাদেক শাহ্‌ (মাঃ) বাগে ছাবেরা ও হযরত ছূফি মৌলানা ছৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মালেক শাহ্‌ (কঃ) রাহে ভাণ্ডারীর রওজা শরীফে ভক্তির্ঘ্য পেশ করে শোহাদায়ে কারবালার মূল আলোচনায় প্রধান বক্তা হিসাবে তকরীর পেশ করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে দরবারের নায়েবে মোন্তাজেম ডাঃ ছৈয়দ আরেফ হোছাইন (মাঃ), নায়েবে সাজ্জাদানশীন মৌলানা ছৈয়দ মশিয়র রহমান রাহাত (মাঃ), রাহে ভাণ্ডার তরুণ আশেকান পরিষদ (রাতআপ) এর সম্মানিত সভাপতি শাহজাদা সাইফুল আলম নাইডু (মাঃ), ছূফি আমিনুল ইসলাম ফকির সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন
মাহফিলে আগত ভক্ত মুরিদানের কিয়দাংশ
      শোহাদায়ে কারবালা মূল আলোচনায় হযরত ছূফি মৌলানা ছৈয়দ জাফর ছাদেক শাহ্‌ (মাঃ) বলেন, কারবালার প্রান্তরে হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর পরিবারের উপর সংঘটিত জুলুমকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য ইয়াজিদি অনুসারীরা বিভিন্নভাবে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, অনেকে বেয়াদপী করতে পারে এই প্রশ্ন করে যে হযরত ইমাম হোছাইন (রঃ) নিজে  তাঁবুতে বসে থেকে অন্যদের যুদ্ধে পাঠান। মূলত উনারা দ্বীনে মোহাম্মদী ও মউলায়তকে হেফাজত করার জন্য শাহাদাত বরণ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, ইয়াজিদ চেয়ে ছিল হযরত জয়নুল আবেদীন (রঃ) জুমার খুতবায় তার নাম উল্লেখ করুন। কিন্তু বালক হযরত জয়নুল আবেদীন হযরত ইমাম হোছাইনের নাম পর্যন্ত বলে খুতবা শেষ করে দেন। আহলে বায়াতের এই কুরবানী হযরত ইব্রাহিম ও ইসমাইল হতে উত্তারাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত। একমাত্র আহলে বায়াতের পক্ষেই  এই কুরবানী কুরবানী নেয়া ও দেয়া সম্ভব। তিনি আরো উল্লেখ করেন, মৌলায়তের সেই ধারা রাহে ভাণ্ডারে পূর্ণভাবে বিদ্যমান। তিনি সবাইকে শোহাদায়ে কারবালার সে মহান আত্তত্যাগের শিক্ষা সমাজের সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে ইয়াজিদের অপচেষ্টাকে ধূলিসাৎ করে দেয়ার অনুরোধ জানান।
মাহফিলে প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখছেন

     আলোচনা শেষে উম্মতে মোহাম্মদীর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত শেষে শাহজাদা ছৈয়দ মুশফিকুর রহমান ফয়সাল ও শায়ের মৌলানা সাহেদ ছেমা মাহফিলে কাওয়ালী পরিবেশন করেন। 


    সম্পদনায়: মো: ইকবাল হোসেন, 
তথ্যেঃ  ছৈয়দ মশিয়র রহমান রাহাত ও মোহাম্মদ জিফাদ বিন লিয়াকত
ছবিঃ ছৈয়দ মশিয়র রহমান রাহাত

রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০১৪

খাজা কালু শাহ্‌ (রঃ)’র ওরছ মোবারকে রাতআপ’র শ্রদ্ধাঞ্জলী


গত ২রা নভেম্বর ২০১৪ইঃ রবিবার হযরত খাজা কালু শাহ্‌ (রঃ) এর বার্ষিক ওরছ মোবারক চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানার অর্ন্তগত ফকিরহাটস্থ মাজার শরীফে মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হয়। ওরছ উপলক্ষে রাহে ভাণ্ডার তরুণ আশেকান পরিষদ (রাতআপ) সীতাকুণ্ড শাখা একটি আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করে। শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন রাতআপ সীতাকুণ্ড শাখার সম্মানিত সভাপতি আ. স.ম. মোসলেহ উদ্দিন সুজন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাতআপ কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মোঃ ইকবাল হোসেন, মারফতি গানের বিখ্যাত শিল্পী কাওয়াল মৌলানা আবুল কাশেম, সীতাকুণ্ড শাখার সহ সভাপতি আলী আকবর বাবুল, মৌলানা আব্দুল হান্নান রাহে ভাণ্ডারী, সহ সাধারণ সম্পাদক মীর জাহেদ, দেলোয়ার হোসেন তসলিম, মোঃ সবুজ, সোলায়মান টিপু, মৌলানা আব্দুস সাত্তার রাহে ভাণ্ডারী, বাহাদুর শাহ্‌ সহ অসংখ্য মাইজভাণ্ডারী ও রাহে ভাণ্ডারীর অনুসারীগণ।



শোভাযাত্রাটি মাজার শরীফের প্রধান ফটক থেকে শুরু হয়ে রওজা শরীফের সামনে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রা শেষে রাহে ভাণ্ডার কধুরখীলদরবার শরীফের পক্ষ হতে হযরত খাজা কালু শাহ্‌ (রঃ)’র রওজা মোবারকে মৌলানা আব্দুল হান্নান রাহে ভাণ্ডারী ও মৌলানা আব্দুস সাত্তার রাহে ভাণ্ডারী শ্রদ্ধাঞ্জলী পেশ করেন।


সব শেষে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববাসীর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন মৌলানা আব্দুল হান্নান রাহে ভাণ্ডারী।


প্রসঙ্গত, প্রতি বছর ৮ মহররম হযরত খাজা কালু শাহ্‌ (রঃ)’র ওরছ মোবারক উদযাপন করা হয়। ওরছের কর্মসূচীর মধ্যে ছিল খতমে কোরআন, মিলাদ মাহফিল, তাবাররুক বিতরণ ও আখেরী মোনাজাত।



সম্পাদনায়: মোঃ ইকবাল হোসেন, ছবিঃ মীর জাহেদ ও নওশাদ

সূত্রঃ তথ্য বিভাগ, রাহে ভাণ্ডার তরুণ আশেকান পরিষদ সীতাকুন্ড শাখা


...

ওরছে হায়াতী উপলক্ষে রাতআপ সীতাকুণ্ড শাখায় বিশেষ সভা


আজাদে মোজাদ্দেদ-এ জমান হযরত ছূফি মৌলানা ছৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মালেক শাহ (কঃ) রাহে ভান্ডারী’র পবিত্র খোশরোজ শরীফ ওরশে হায়াতী২০১৪ ইং উদযাপন  উপলক্ষে  রাহে ভাণ্ডার তরুণ আশেকান পরিষদ (রাতআপ) সীতাকুণ্ড শাখা গত ১৫ অক্টোবর ২০১৪ইঃ বুধবার বাদে মাগরিব শাখার অস্থায়ী কার্যালয়ে এক বিশেষ সভার আয়োজন করে।




রাতআপ সীতাকুণ্ড শাখার সম্মানিত ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলী আকবর বাবুলের সভাপতিত্বে উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত  ছিলেন রাহে ভান্ডার কধুরখীল দরবার শরীফের মহান সজ্জাদানশীন এবং 'নবী দিবস'র উদ্যোক্তা ও রাতআপ এর সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক হযরত ছূফি মৌলানা ছৈয়দ জাফর ছাদেক শাহ আল- রাহে ভান্ডারী (মাঃজিঃআঃ)

উক্ত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাতআপ কেন্দ্রীয় কমিটি সম্মানিত সহ সভাপতি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী  মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন

সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন রাতআপ সীতাকুণ্ড শাখার উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন তসলিম সীতাকুণ্ড শাখার সহ সভাপতি মৌলানা আব্দুল হান্নান রাহে ভাণ্ডারী, মোহাম্মদ ইয়াছিন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাসেল,  সহ সম্পাদক মীর জাহেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, নজরুল ইসলাম সবুজ, মোহাম্মদ সোলায়মান টিপু, মোহাম্মদ নওশাদ, রনি, সায়েম, তারেক আজিজ, আবু তৈয়ব, যাবের, রাহাত সহ  প্রমুখ




সভায় বক্তারা পূর্ব নির্ধারিত বিষয়ের উপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। আলোচনায় বিশেষভাবে গুরুত্ব পায় আসন্ন ৮ কার্তিক ২৩ অক্টোবরের উদযাপিত ওরেশ হায়াতী । বক্তারা ওরেশ হায়াতী’ কে সাফল্যমণ্ডিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন মতামত তুলে ধরেন । দরবারের প্রচার প্রসারনা বিষয়টির উপর তারা বিশেষভাবে জোর প্রদান করেন।
    
প্রধান মেহমান হযরত ছূফি মৌলানা ছৈয়দ জাফর ছাদেক শাহ (মাঃজিঃআঃ) তাঁর বক্তব্যে উম্মতে মোহাম্মদী (দঃ) এর খেদমতে রাহে ভাণ্ডার তরিকার আশেক ভক্ত মুরিদানদের নিয়োজিত থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি তথ্য প্রযুক্তিতে অবদান রাখার মাধ্যমে রাহে ভাণ্ডার তরিকাকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দেয়ার আহবান জানান। ফেইসবুক সহ বিভিন্ন সামাজিক সাইটে প্রচার প্রসারনার জন্য এর সাথে যুক্ত সকলের প্রতি তিনি তাঁর সন্তুষ্টির কথা ব্যক্ত করেন। তবে এ ক্ষেত্রে তিনি সকলকে আরো সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেন।  

সভার সভাপতি তার সমাপনী বক্তব্যে সভায় আগত সকল অতিথি ও সদস্যগণের প্রতি উক্ত সভায় উপস্থিত থাকার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।


সভার শেষে দেশ ও মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।     


সম্পাদনায়: মোঃ ইকবাল হোসেন, ছবিঃ মীর জাহেদ, নওশাদ, তারেক আজিজ

সূত্রঃ
১. রাতআপ বার্তা বিভাগ,
২. Chittagong Daily


...