বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৪

রাহে ভাণ্ডার কধুরখীল দরবার শরীফে পবিত্র আশুরা উদযাপিত

    যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য্য ও বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে রাহে ভাণ্ডার কধুরখীল দরবার শরীফে পবিত্র ১০ মহররম শোহাদায়ে কারবালা স্মরণে ফাতেহা উদযাপিত হয়েছে। রাহে ভাণ্ডার ওলামা পরিষদ (রাওপ) বাদে আছর থেকে বাদে মাগরিব পর্যন্ত শোহাদায়ে কারবালার উপর মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে। মাহফিল শেষে রাহে ভাণ্ডার ছুফি শিল্পী পরিষদ শোহাদায়ে কারবালার শানে নাত ও গজল পেশ করে।

     পরবর্তীতে অনুষ্ঠানে আগত সকল আশেক, ভক্ত, মুরিদানের সম্মুখে তাবাররুক বিতরণ করা হয়।

     বাদে এশা রাহে ভাণ্ডার কধুরখীল দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন হযরত ছুফি মৌলানা ছৈয়দ জাফর ছাদেক শাহ্‌ (মাঃ) বাগে ছাবেরা ও হযরত ছূফি মৌলানা ছৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মালেক শাহ্‌ (কঃ) রাহে ভাণ্ডারীর রওজা শরীফে ভক্তির্ঘ্য পেশ করে শোহাদায়ে কারবালার মূল আলোচনায় প্রধান বক্তা হিসাবে তকরীর পেশ করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে দরবারের নায়েবে মোন্তাজেম ডাঃ ছৈয়দ আরেফ হোছাইন (মাঃ), নায়েবে সাজ্জাদানশীন মৌলানা ছৈয়দ মশিয়র রহমান রাহাত (মাঃ), রাহে ভাণ্ডার তরুণ আশেকান পরিষদ (রাতআপ) এর সম্মানিত সভাপতি শাহজাদা সাইফুল আলম নাইডু (মাঃ), ছূফি আমিনুল ইসলাম ফকির সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন
মাহফিলে আগত ভক্ত মুরিদানের কিয়দাংশ
      শোহাদায়ে কারবালা মূল আলোচনায় হযরত ছূফি মৌলানা ছৈয়দ জাফর ছাদেক শাহ্‌ (মাঃ) বলেন, কারবালার প্রান্তরে হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর পরিবারের উপর সংঘটিত জুলুমকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য ইয়াজিদি অনুসারীরা বিভিন্নভাবে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, অনেকে বেয়াদপী করতে পারে এই প্রশ্ন করে যে হযরত ইমাম হোছাইন (রঃ) নিজে  তাঁবুতে বসে থেকে অন্যদের যুদ্ধে পাঠান। মূলত উনারা দ্বীনে মোহাম্মদী ও মউলায়তকে হেফাজত করার জন্য শাহাদাত বরণ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, ইয়াজিদ চেয়ে ছিল হযরত জয়নুল আবেদীন (রঃ) জুমার খুতবায় তার নাম উল্লেখ করুন। কিন্তু বালক হযরত জয়নুল আবেদীন হযরত ইমাম হোছাইনের নাম পর্যন্ত বলে খুতবা শেষ করে দেন। আহলে বায়াতের এই কুরবানী হযরত ইব্রাহিম ও ইসমাইল হতে উত্তারাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত। একমাত্র আহলে বায়াতের পক্ষেই  এই কুরবানী কুরবানী নেয়া ও দেয়া সম্ভব। তিনি আরো উল্লেখ করেন, মৌলায়তের সেই ধারা রাহে ভাণ্ডারে পূর্ণভাবে বিদ্যমান। তিনি সবাইকে শোহাদায়ে কারবালার সে মহান আত্তত্যাগের শিক্ষা সমাজের সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে ইয়াজিদের অপচেষ্টাকে ধূলিসাৎ করে দেয়ার অনুরোধ জানান।
মাহফিলে প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখছেন

     আলোচনা শেষে উম্মতে মোহাম্মদীর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত শেষে শাহজাদা ছৈয়দ মুশফিকুর রহমান ফয়সাল ও শায়ের মৌলানা সাহেদ ছেমা মাহফিলে কাওয়ালী পরিবেশন করেন। 


    সম্পদনায়: মো: ইকবাল হোসেন, 
তথ্যেঃ  ছৈয়দ মশিয়র রহমান রাহাত ও মোহাম্মদ জিফাদ বিন লিয়াকত
ছবিঃ ছৈয়দ মশিয়র রহমান রাহাত

1 টি মন্তব্য: