20শে জানুয়ারী 2014ইঃ রাহে ভান্ডার রাজানগর দরবার শরীফে মাসিক ফাতেহা শরীফ অুষ্ঠিত হয়। বাংলা মাসের সপ্তম তারিখটি উদযাপন করতে রাহে ভান্ডার রাজানগর দরবার শরীফের সাথে সমন্বিত ভাবে রাহে ভান্ডার কধুরখীল দরবার শরীফ এ ফাতেহার আয়োজন করে। রাহে ভান্ডার তরীকর প্রতিষ্ঠাতা দুলহায়ে হযরত; ছাহেবুল অজুদুল কোরআন; হযরত মৌলানা ছৈয়দ ছালেকুর রহমান রাহে ভান্ডারী (কঃ) 45 বছর পূর্বে এ দিনে পৌষ 7, 1373 বঙ্গাব্দে পহেলা শাওয়াল সকাল সাত ঘাটিকায় ওফাত বরণ করেন।
তরীকার আশেক- ভক্তগণের প্রাণান্ত চাহিদার কথা বিবেচনা করে রাহে ভান্ডার রাজানগর দরবার শরীফের কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বিত ভাবে রাহে ভান্ডার কধুরখীল দরবার শরীফের কর্তৃপক্ষ প্রতি বাংলা মাসের 7 তারিখে অত্র রাহে ভান্ডার রাজানগর দরবারে এ ফাতেহা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেন।
এ উপলক্ষে আয়োজিত উদ্ভোধনী ছুফি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দুলহায়ে হযরতের বড় পৌত্র- রাহে ভান্ডার রাজানগর দরবার শরীফের প্রধান মোন্তাজেম এবং নিয়মিত ম্যাগাজিন রাহে ভান্ডার মুখপত্র “নকশার সন্ধানে” এর প্রধান উপদেষ্টা খাজা ছৈয়দ মোহাম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর বাহাদুর শাহ (মাঃজিঃআঃ)।. সেজ পৌত্র ও রাজানগর দরবার শরীফের মোন্তাজেম এবং ওয়াকফ ষ্ট্যাইটের অন্যতম মোতাওয়াল্লী খাজা ছৈয়দ নিজাম উদ্দিন ছালেকীর (মাঃজিঃআঃ) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে রাহে ভান্ডার কধুরখীল দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন হযরত মৌলানা ছৈয়দ জাফর ছাদেক শাহ (মাঃজিঃআঃ) এবং বিশেষ অতিথি হিসাবে মধুপুর দরবারের মোন্তাজেম মৌলানা মকসুদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এতে অন্যান্যের মধ্যে রাহে ভান্ডার আশেকান পরিষদ (রাআপ)’র সভাপতি শাহজাদা ডাঃ ছৈয়দ আরেফ হোসাইন, রাহে ভান্ডার কধুরখীল দরবার শরীফের নায়েব সাজ্জাদানশীন মৌলানা ছৈয়দ মশিউর রহমান রাহাত এবং রাহে ভান্ডার তরুণ আশেকান পরিষদ (রাতআপ)’র কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এ নাইডু উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি খাজা ছৈয়দ মোহাম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর বাহাদুর শাহ (মাঃজিঃআঃ) নতুন প্রজন্মের ছুফি অনুসারীগণকে ছুফি মতাদর্শ বাস্তবরুপে বুকে ধারণ করে জীবনের চলার পথে এগিয়ে যাবার তাগিদ দেন। প্রতি মাসে অনুষ্ঠিতব্য এ 7 তারিখের ফাতেহায় রাহে ভান্ডার তরীকার সকল অনুসারীগণকে নিয়োমিত আংশগ্রহণের আহ্বান জানান খাজা ছৈয়দ নিজাম উদ্দিন ছালেকী (মাঃজিঃআঃ)
প্রধান বক্তা হিসাবে বৈশ্বিক সামাজে নবী বিদ্বেসীগণের অপপ্রচারের প্রতিবাদ এবং ধর্মীয় স্বচেতনতা জাগ্রত করার মানষে সূচিত “নবী দিবস” (সঃ) এর প্রবক্তা, বিশ্বময় ছুফি সমাজে সার্বজনীন ঐক্য সৃষ্টির তাগিদে “মহাত্মা সম্মেলন” এর সফল আয়োজক এবং সমকালীন ছুফি সাধক- গবেষক ও শিল্পীগণের অবদানকে স্মরনীয় করে রাখতে “রাহে ভান্ডার সম্মাননা পদক” এর প্রবর্তনকারী হযরত মৌলানা ছৈয়দ জাফর ছাদেক শাহ (মাঃজিঃআঃ) তার বক্তব্যে বলেন, “রাহে ভান্ডার তরীকা যদিও মাইজভান্ডারী তরীকা হতে বিকশিত হয়েছে কিন্তু এর স্বাবলীল কিছু স্বকীয় বৈশিষ্ট্যও বিদ্যমান। যেমনি ভাবে কাদেরীয়া তরীকা হতে উদ্ভূত অন্য সকল তরীকার মাঝে সোহরাওয়ার্দীয়া তরীকা স্বমহিমায় অম্লান”।. তিনি আরও বলেন, “ছাহেবুল অজুদুল কোরআন হযরত মৌলানা ছৈয়দ ছালেকুর রহমান শাহ কাদ্দাছা ছিরহুল আজিজ (1848-1968) শত বর্ষেরও পূর্বে এর নাম রাখেন রাহে ভান্ডার তরীকা”।. উক্ত মহতি সমাবেশে তিনি শামছুল আউলিয়া হযরত হাফেজ মৌলানা মোহাম্মদ হাসেম শাহ (1891-1989) এবং আজাদে মোজাদ্দেদে জমান হযরত মৌলানা মোহাম্মদ আব্দুল মালেক শাহ (1916-1980) সহ সকল খলিফয়ে রাহে ভান্ডরীর অবদানের কথা স্মরণ করেন।
আলোচনার পরিশেষে দরুদ ও কিয়ামের মাধ্যমে মিলাদ মাহফিল পরিচালিত হয়। এরপর তরীকার ঐতিহ্যবাহি রীতি মোতাবেক রাহে ভান্ডার ছুফি শিল্পী পরিষদের সদস্যগণের অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত ছেমআ মাহফিলে উপস্থিত সকলে হালকা্-এ জিকির ও অজদ্ সহকারে মহান স্রষ্টার স্মরণে আত্মনিমগ্ন হন। ফলে এক মোহনীয় ভাবগম্ভীর অবহ সৃষ্টি হয়। ছেমআ শেষে তরীকার অনুসারীগণ প্রত্যেকে পরস্পর স্নেহ ও শ্রদ্ধাভরে ভাব বিনিময় করেন। অবশেষে তরীকার সকল অনুগামীগণের সার্বিক কল্যাণ এবং বিশ্ব সমাজের চলমান সকল প্রকার বৈরীতা হতে মুক্তি কামনা করে হযরত মৌলানা ছৈয়দ জাফর ছাদেক শাহ (মাঃজিঃআঃ)’র পারিচালনায় আখেরী মুনাজাতের মধ্যদিয়ে এ অনষ্ঠানের কার্যক্রমের পরিসমাপ্তি ঘটে।
রাহে ভান্ডার তথ্য ও প্রচার দপ্তর হতে সম্পাদনায়: এস এ মিডু
তথ্য সংযোগ: ছৈয়দ রাহাত ও সায়ের সাহেদ এবং ছবি: ছৈয়দ রাহাত, তুশার হাসান ও শোহাদ লিয়াকত।
.....